Huff1000 – Bengali

focus: Potentialism Theory by David Birnbaum

Iconoclast-maverick philosopher David Birnbaum  creatively re-focuses and redefines our  understanding of human purpose and ultimate reality.  See Theory of Everything. See also universal consciousness.... Seth Lloyd, quantum physics David Birnbaum philosophy.

মহাবিশ্বের দুটি রূপরেখা

 
বর্তমান বিদ্বানসমাজ প্রচন্ডভাবেই এক দল শিক্ষাবিদের দোলাচলের অধীনে রয়েছে যা প্রায়শই 'প্রোথিত গোঁড়ামি' রূপরেখা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই রূপরেখার মন্ত্র হলো মহাবিশ্ব অনুর্বর এবং খামখেয়ালী বা রেন্ডম; এই মতবাদের সমর্থকরা প্রায়শই নাস্তিক। এইসকল সমর্থকারীদের ভৌগোলিক ভরকেন্দ্র দক্ষিণ ইংল্যান্ডে সাতটি নেতৃস্থানীয় কলেজকে ধরা যেতে পারে, এরা প্রায়ই অনানুষ্ঠানিকভাবে মিলিতভাবে কাজ করে, এবং প্রায়শই খামখেয়ালীপনা / নাস্তিক্যবাদের সমর্থক হিসেবেই উল্লেখিত হয়ে থাকেন। যেভাবে জানা যাচ্ছে,, দল প্রস্থাপন করে সবকিছুই খামখেয়ালী বা এলোমেলো ভাবে ঘটছে এবং তা হচ্ছে চান্স বা সম্ভাবনা। । ক্রমে, তারা দাবি করেন যে মহাবিশ্বের বিশাল রূপরেখায় মানবজাতির কোন গুরুত্ব নেই, মানবজাতির অস্তিত্ব তাত্পর্যহীন ও গুরুত্বহীন ভাবেই আরতা কেবলমাত্র একটি মহাজাগতিক দুর্ঘটনা। এই দলের কাছে ঠান্ডা, এলোমেলো এবং উদ্দেশ্যহীন মহাবিশ্বে মানবজাতি একটি তুচ্ছ কণা। দলটি মহাবিশ্বের যেকোনো অতীন্দ্রীয় বল বা চলমানতা বা নকশা বা আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যেকে থাকার কোনো সম্ভাবনাকে প্রত্যাখ্যান করে। তাদের কাছে মহাবিশ্ব অনুর্বর। মহাবিশ্বের কোনো সাধারণ কিছে থাকলে, তা একক ভাবে 'ক্ষয়প্রাপ্ত' হবে। এবং যতটা জানা যায় লক্ষ কোটি অসাধারণ ছায়াপথ, প্রতিটির সাথে লক্ষ কোটি অসাধারণ নক্ষত্র, এবং নানাপ্রকার গ্রহের তন্ত্রগুলি, যার মধ্যে অন্তত একটিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ জৈবিক জৈব-ধরণ থাকাটা , তাদের কাছে শুধুই এলোমেলো ঘটনা। এটি সব ক্ষেত্রেই 'আপনা আপনিই ঘটেছে'।

ডেভিড জিলেরেনটার, ইয়েল-এ কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক, জানুয়ারী 2014-তে তার “দি ক্লোজিং অব দ্যা সাইন্টিফিক মাইন্ড বা বৈজ্ঞানিক মনের বন্ধ হওয়া” (“The Closing of the Scientific Mind”) কমেন্টারি ম্যাগাজিন-এর নিবন্ধে বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাজগতের সম্প্রদায়কে তাদের স্থানে বিভিন্ন পারস্পরিক সম্পর্কে স্থাপন করেন।যুক্ত । জিলেরেনটার বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে 'রোবোটিজম’ ব্যবহৃত পদটির জন্য কঠোর সমালোচনা করেন, যাতে নান্দনিক, মানবতাবাদী, এবং আধ্যাত্মিক ভূমিকার মর্যাদা হানি ঘটে। তিনি ব্যাপক অর্থে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে 'যান্ত্রিক’ হওয়ার জন্য সমালোচনা করেন, যারা জীবন সত্ত্বাকে ছদ্ম-কম্পিউটারের বাইনারি সুইচ হিসেবেই দেখছেন।

একসঙ্গে সমস্ত পারস্পরিক বিষয় সম্পর্কযুক্ত করলে, জিলেরেনটার-এর দর্শন আসলে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় (NYU)-এর অধ্যাপক টমাস নাজেল-এর কেসটিকে শিখিয়েছেন। 2012 সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস নাজেল-এর গ্রন্থ মাইন্ড অ্যান্ড কসমস প্রকাশিত করে। কাজের থিসিসটি তুলনামূলকভাবে সহজ: সমসাময়িক বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞান তত্ত্ব (কনটেমপোরারি ইভোলিউসানারি বায়োলজি থিওরি) (ওরফে 'জড়িত গোঁড়ামি') যা চেতনার উত্থান 'হ্যান্ডেল বা গুরুত্ব দিয়ে কাজ' করে না । নাজেল, জিলেরেনটার-এ মতো, মহাজাগতিক ক্ষেত্রে আমাদের তত্ত্ব এবং বিবর্তনের উপ-তত্ত্বকে আরও সমৃদ্ধ করতে চান এবং যাতে তা মানুষের আত্মা, চেতনা এবং আত্মনিষ্ঠার জন্য কাজে লাগে। সুতরাং, নাজেল মনে করেন যে মহাজাগতিক গতিশীলতা মহাবিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে এবং বিবর্তন সেই চেতনার দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা মনে করেন যে একটি গোঁড়ামি বিরাজমান, তা হলো জেনেটিক বেঁচে থাকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যা শুধুমাত্র খামখেয়ালী দ্বারা চালিত মহাবিশ্বে একমাত্র গতিশীলতা আর , তার সমর্থকরা সেখানে ‘আসল লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছেন না”'। পরিভাষায় বলতে গেলে নাজেল প্রস্তাব দেন 'পরমকারণবাদ' (মহাবিশ্বের উদ্দেশ্যজনিত চালক) মহাজাগতিক ক্ষেত্রে বিরাজমান।

তবে, জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে চেতনা উদ্ভব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জড়িত গোঁড়ামির ব্যর্থতায়, নাজেল কিন্তু ধারণাগত তাত্ত্বিক এবং অধিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডেভিড ব্রিনবাউমের 'তুলনায় একজস স্কুলের ছাত্র'।। নাজেল 2012 সালে প্রস্তাব দেন যে মূল মহাজাগতিক 'ড্রাইভ বা চালনা' রয়েছে, একটি পরমকারণবাদ। কিন্তু প্রধান পরমকারণবাদ (চেতনার নিপুণ মিশ্রণের ব্যবহার দেখাশুনো করে) ইতিমধ্যে সহযোগী নিউ ইয়র্কার দ্বারা (1988, 2005) প্রকাশিত হয়েছে। নাজেল-এর মধ্যশহর ম্যানহাটান প্রতিবেশী, NYU-এ নাজেল-এর 40 ব্লক উত্তরে থাকেন ডেভিড ব্রিনবাউম, 2-খন্ডের সুবিখ্যাত দার্শনিক গ্রন্থ সুম্মা মেটাফিজিকা-এর লেখক। ব্রিনবাউম-এর কাজে সর্বোচ্চ মহাজাগতিক গতিশীলতার প্রস্তাব। নভেম্বর 2013-তে ব্রিটিশ সাংবাদিক অলিভার বুরকেম্যান, ফরাসি নৃতত্ত্ববিদ ক্লদ লেভি-স্ট্রস (2006) ব্রিনবাউম-এর অসীম সম্ভাবনা তত্বের প্রতিধ্বনি করেন, এবং বলেন ব্রিনবাউম-এর তত্ত্ব 'অসাধারণ এবং গভীর'; বুরকেম্যান অনুভব করেন উভয় নেতাই - ব্রিনবাউম এবং নাজেল- উ্‌ভয়ই সুন্দরভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অসীম সম্ভাব্য হল মহাজাগতিক ক্ষেত্রে ব্রিনবাউম-এর প্রস্তাবিত মাঝের কেন্দ্রীয় তত্ত্ব, হতে পারার সম্ভাবনা তত্ত্ব। ব্রিনবাউম-এর মহাবিশ্ব জৈবনিক, হওয়ার সম্ভাবনাবয়ে চলেছে। প্রকৃতপক্ষে সম্ভাব্য এটি সংজ্ঞায়িত করে। যদি নাজেল-এর কাজ 'প্রোথিত গোঁড়ামি' শিক্ষাবিদদের মনোকষ্ট দেয়, তাহলে ব্রিনবাউম কাজ তাদের বিশাল হার্ট অ্যাটাক ঘটাবে। ব্রিনবাউম-এর গ্রন্থ প্রকাশিত হয় দুটি অংশে: সুম্মা মেটাফিজিকা I : গড অ্যান্ড ইভিল (কেটাভ প্রকাশনা দ্বারা 1988 সালে প্রকাশিত) এবং সুম্মা মেটাফিজিকা II : গড অ্যান্ড গুড (নিউ প্যারাডিজিম ম্যাট্রিক্স দ্বারা 2005 সালে প্রকাশিত)।

ব্রিনবাউম-র সুম্মা, যার পঞ্চাশ হাজার প্রচার সংখ্যার সেট ছিল, যা আসলে পরে সম্পূর্ণ দার্শনিকভাবে একমত হয়েছে নাজেল এর মাইন্ড অ্যান্ড কসমস গ্রন্থের সঙ্গে (2012) এবং জিলেরেনটার-এর উপরে-উল্লেখিত কমেন্ট্রি নিবন্ধ (2014) সঙ্গে। তাদের সমস্ত কাজ, তার কথা বলতে গেলে, 'একে অপরের সাথে কথা বলে'।

ব্রিনবাউম’স থিওরি অব পোটেন্সিয়াল ঐক্যবদ্ধ, সর্বোচ্চ এবং গতিশীল মহাজাগতিক নির্মাণ উপলব্ধির প্রস্তাব দেয়। ব্রিনবাউমও আমাদের মতন বেশ সচেতন, যে কসমস বা নিসর্গে আপাতদৃষ্টিতে 'খোলা স্থান'-এর কোন ঘাটতি রয়েছে। যতোই তিনি সুপারিশ করছেন যে মহাবিশ্বের মৌলিক, প্রোথিত সম্ভাবনার ধাক্কাকে হারালে চলবে না।

ব্রিনবাউম তার প্রথাগত অসীম সম্ভাবনা, বেশ সমৃদ্ধ মহাজাগতিক ক্ষেত্রে শাশ্বত এবং চলমান গতিশীল। ব্রিনবাউমের মতে , সময়ের সাথে যা উদ্ঘাটিত হয়নি, অনুর্বর মহাবিশ্ব এলোমেলো ভাবে কাজ করছে না. বিয়টি অনেক গভীরে " আপনি এবং আমি, এই তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথক মহাজাগতিক সম্ভাবনা, অনেক লক্ষ কোটি বছর ধরে চলমান পুনরাবৃত্তির এবং অপ্টিমাইজেশান বা ক্রমেন্নতির শেষ ফলাফল। ক্রমে, পৃথকভাবে, আমরা প্রত্যেকে আরও সম্ভাবনার জন্য মঞ্চ তৈরী করছি” ব্রিনবাউম বলেছেন

সমসাময়িক প্রধান চরিত্রে অনুযায়ী সরাসরি 'জৈব' মহাবিশ্বে একটি ক্রম পাওয়া যায় : ব্রিনবাউম (1988, 2005)> নাজেল (2012)> জিলেরেনটার (2014)। নাজেল 2012-তে তার কাজের মধ্যে গ্রন্থিবদ্ধ করেন যে আমরা জীবন, চেতনা, কারণ, জ্ঞান, ভাষা এবং পরার্থপরতায় আমাদের মহাজাগতিক ক্ষেত্র উপলব্ধি করা উচিত। এটি দেখা যাচ্ছে যে উভয়ই নাজেল এবং জিলেরেনটার মেলানো তালিকার সামগ্রী সমস্তটাই সম্পূর্ণরূপে সম্ভাব্য ব্রিনবাউম-এর তত্ত্ব দ্বারা বেষ্টিত হয়েছে। সম্ভাব্যবাদ অনুসারে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জৈবনিক, অনুর্বর নয়। এটি তার নিজের অসাধারণ সম্ভাবনা পরে অপ্রতিরোধ্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। এটি তার নিজের সম্ভাবনায় সম্পূর্ণ ফুল প্রস্ফুটিত করার জন্য যত্নশীল। আমাদেরঅসাধারণ এবং সমৃদ্ধ মহাবিশ্বের এই অপ্রতিরোধ্য অনুসন্ধানের চালনাশক্তি হলো চূড়ান্ত সম্ভাবনার অনুসন্ধান।

 

focus: Potentialism Theory by David Birnbaum

 

for David Birnbaum philosophy, metaphysics, see also

http://www.summametaphysica.com/calculus/